কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরল
নদীর পানি অস্বাভাবিক গতিতে বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। পানি বাড়ার কারণে কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার প্রায় অর্ধশত চর প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার শত শত একর আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩০ হাজার মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া তীব্র ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়েছে মোঘলবাসা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। তিস্তার ভাঙন চলছে বজরা, কাশিমবাজার, থেতরাইসহ কয়েকটি এলাকায়। এসব এলাকায় গত দু’দিনে শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত
থাকায় আগামী ২-৩ দিন পানি আরো বাড়ছে পারে। এরপর পানি কমবে। এছাড়া নদী ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।